ডায়াবেটিস (Diabetes) Posted on May 27, 2014 in - TopicsExpress



          

ডায়াবেটিস (Diabetes) Posted on May 27, 2014 in ঔষুধ, জেনে রাখুন, ডায়াবেটিস, ভেষজ, রোগ ব্যাধি ডায়াবেটিস নিয়ে সঙ্কিপ্ত ভাবে তুলে ধরা হল আপনি বা আপনার নিকট আত্মীয় কেউ ডায়াবেটিসে ভোগে থাকলে,ফলো করুন – কিছুটা উপকার হতে পারে লিখেছেন- ডাঃ হেলাল কামালি মনে রাখবেন খাবারের অতিরিক্ত লোভ এবং আলস্য এ রোগ কে হাত চানি দিয়ে ডেকে আনতে পারে ! ডায়াবেটিস (Diabetes) শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ Diabainein থেকে । সর্বপ্রথম ১৪২৫ সালে Thomas Willis ডায়াবেটিস মেলিচীস সম্পর্কে মেডিক্যাল বইতে লেখেন। ১৭৭৬ সালে Mathew Dobson মূত্র এবং রক্তে সুগার খুজে পান। সুত্রঃ +++ (D)#3 = Diet, Drug and Discipline এই তিনটি শব্দ মনে রাখলেই আপনি প্রাথমিক পর্যায়ের ডায়াবেটিস থেকে রক্কা পেতে পারেন – তার পর ও স্রা পৃথিবীতে ৩০ কোটি মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বা আগামিতে প্রতি ৩/১ পরিবারে একজন রোগী থাকবেন । সে জন্য সকলের ভাল অভিজ্ঞতা থাকা অবশ্যই দরকার। জেনে নিন, কারও উপকারে আস্তে পারেন ? অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে রোগ হয় তা হলো ডায়াবেটিস বা বহুমুত্র রোগ। ( সহজ ভাবে যা বুজি শরীরে অনিয়ন্ত্রিত গ্লুকোজ ) আমরা যা খাই, সব খাবার পেটে যাবার পর বিভিন্ন enzyme, এসিড দ্বারা এর হজম প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর খাবার নরম অবস্থায় ক্ষুদ্রান্ত (Small Intestine) এবং বৃহদান্ত্র (Large Intestine) দিয়ে যাবার সময় হজম হয়। এই হজম হওয়া যেই অংশ সেটাকে আমরা সহজ ভাষায় Glucose বলতে পারি। আর যেটা হজম হয় না, সেটা বেরিয়ে যায় ময়লা বা আবর্জনা হিসাবে – আর এই গ্লকোজ কে নিয়ন্ত্রন করতে ইনুসুলিন যখন ঠিক ভাবে তৈরি হয়না বা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায় তখন ইহাকেই আমরা ডায়াবেটিস বলে থাকি। ডায়াবেটিস দুই ধরনের রয়েছে। একটা হলো ডায়াবেটিস মেলাইটাস ( সুগার বেশী হওয়া ) আরেকটা হলো ডায়াবেটিস ইন্সিপিডাস ( সুগার কমে যাওয়া ) এ ছাড়া আরেক ধরনের ডায়াবেটিস আছে যাকে Gestational Diabetes বলা হয় ( ইহা গর্ভ বতি মায়েদের বেলায় হয় ) চিকিৎসার খাতিরে বা রোগের ধরন অনুসারে ডায়াবেটিস মেলাইটাস কে দু ভাগে ভাগ করেছেন ডি এম ১ ( ডায়বেটিস মেলাইটাস ১ ) – যা স্বয়ং অগ্নাশয় নিজেই অসুস্থ হয়ে ইনুসুলিন ( ইহা এক ধরনের হরমোন যা অগ্নাশয় থেকে বাহির হয় ) তৈরি করতে পারেনা – ( বিটা সেল নষ্ট হয়ে যায় ) – সে কারনে বাহির থেকে আজীবন ইনসুলিন দিয়েই যেতে হয় – তবে বেশির ভাগ সময়, ইহা শিশু অবস্তা থেকেই শুরু হয়-যাকে ইনসুলিননির্ভর ডায়াবেটিস বলে – ( সদ্য এক গবেষণায় দেখা গেছে মাত্র ২% মায়ের এবং ৮% বাবার বংশ থেকে হওয়ার সম্বাভনা আছে, NHS-UK ) ডি এম ২ ( ডায়াবেটিস মেলাইটাস ২ )- শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরিতে ব্যর্থ হয় নতুবা পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরী হলেও ইনসুলিন তার কাজ করতে পারে না। সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সের লোকদের এটা হয়ে থাকে- এবং এটি প্রধানত বংশগত কারণ ই এখন পর্যন্ত বেশী দায়ী – যা পৃথিবীর ২৫ কোটি মানুষ মুলত এই অসুখে ভুগতেছেন – এ ছাড়া যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, শারীরিক প্ররিশ্রমের কাজ করেন না তাদের বেলায় ও দেখা যায় – সে জন্য -ইনসুলিন অনির্ভরশীল ডায়াবেটিস চিকিৎসায় সাধারণত ইনসুলিনের প্রয়োজন হয় না। এক্ষেত্রে খাদ্য অভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন, ব্যায়াম বা হাঁটাহাটি ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণে বেশি ভূমিকা রাখে বিধায় অসুখ টি বাড়ানো কমানো আপনার ইছছার উপর নির্ভর করে। তবে যখন মারাত্মক আকারে এই অসুখ আক্রমণ করবে তখন অনেকের টাইপ ১ চলে যেতে পারে- ( নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে বংশানুক্রমে ১৫% কিন্তু যদি বাবা মা দুজনের ডায়াবেটিস থাকে তা হলে ৭৫% যা পরবর্তীতে তিন জনের একজন কিডনি রোগে ভোগেন- এবং ৬০% মানুষের চোখের চানি জনিত অসুবিধা দেয় ) ডায়াবেটিস কেন কাদের হওয়ার সম্বাভনা বেশী:- জেনেটিক বা বংশগত কারণে–ভাইরাস ইনফেকশন ও অটোইম্যুনের কারণে–ছবেশী ওজন বা মেদ ভুড়ি বেড়ে গেলে বা অতিরিক্ত খবারের কারণে– শারীরিক পরিশ্রম না করলে–গর্ভবতী মহিলার, বা গর্ভাবস্থায় ধূমপান করলে সেই শিশুর–বহুদিন ধরে স্টেরয়েড ওষুধ ব্যবহার করলে ( ডেক্ষ মেথাসন ) –জন্মের পরপরই শিশুকে গরুর দুধ খাওয়ালে ( কেউ কেউ শিশুকে নাডুস/নুডুস স্বাস্থ্য হওয়ার জন্য কিছু বাড়তি অভ্যাসের কারনে ) – বেশি বেশি স্মোকড ফুড খেলে অপুষ্টিজনিত কারণ, স্ট্রেস বা টেনশনের কারণে সংক্রামক ব্যধির আক্রমনে যাদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বেশি অগ্ন্যাশয়ের রোগ বা অন্যান্য হরমোনের আধিক্য ঔষধ ও রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শ ইত্যাদির কারনে। প্রাথমিক ভাবে ডায়াবেটিস হওয়ার পর জটিলতা ঝুঁকি কখন বা কাদের বাড়তে পারেঃ– কম বয়সে ডায়াবেটিস হলে–অনেক দেরিতে ডায়াবেটিস ধরা পড়লে দীর্ঘকাল ডায়াবেটিসে ভুগলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে না থাকলে খাওয়া দাওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন না করলে এ সময় যে সকল খাদ্য নিশেধ তাই মন চাইবে খওয়ার রক্তে কোলেস্টেরল বাড়লে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে দৈহিক ওজন বেড়ে গেলে বৃদ্ধ বয়স, অতিরিক্ত মানসিক চাপ ধূমপান করলে। ফ্যাটি লিভারি ( যা মেয়েদের বেশী হয় ) কিডনির অন্য কোন অসুখ থাকলে, ইত্যাদি এ ছাড়া গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বাচ্চা প্রসব হওয়ার পর সাধারণত আর তা থাকে না ( তবে উক্ত বাচ্চার জেন্টিক ডায়াবেটিস হওয়ার সম্বাভনা থেকেই যায় ) – হার্টের বা মস্তিষ্ক স্নায়ু রোগীদের বেলায় মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে -যা পরবর্তীতে স্ট্রোক বা পেরালাইসিস হতে দেখা যায়। ডায়াবেটিক ( সুগার ) কোন কোন অঙ্গের বেশী ক্ষতি করেঃ– কম বেশী সকল অঙ্গের ক্কতি হয় তবে সবচেয়ে বেশী – কিডনি, হার্ট, চোখ, শরীরের চামড়া, দাতের মাড়ি, স্নায়ু ও ধমনী সমূহ যার কারনে যৌন উক্তেজনা হ্রাস বা কমে যাওয়া ইত্যাদি- কিন্তু কেন? ( অবশ্য সামান্য আরেকটু বিষদ আলোচনার দরকার – যেহেতো অসুখটি প্রায় পরিবারেই আছে,)- যেহেতো বারে বারে প্রস্রাবে যেতে হয় তার মানেই ইহাই যে, ডায়াবেটিস হওয়ার আগ থেকেই কিডনিতে আঘাত করে ( নেপ্রনে ) যার করনে অনেক সময় কিডনির নানা অসুখে ভোগে থাকেন ডায়াবেটিসের রোগিরা যাকে ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি বলা হয় – যা ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি থেকে পর্যায়ক্রমে ধীরগতিতে কিডনি ফেইলর বা কিডনি বা প্রস্রাব নালীতে সংক্রমণ। দেখা যায় এবং এ সব লক্কন রোগীর ৫/১০ বছর পর দেখা দেয়, অনেক সময় উনাদের পা ফোলে যাওয়া বা মারাত্মক কেত্রে কিডনি নষ্ট হতে ও দেখা যায় সেই সাথে সারা শরিরে পানি আসায় অবশ্যই ব্লাড প্রেসার ও বেড়ে যায় – এ ছাড়া যেহেতো গ্লকোজ সারা শরীরে রক্তের মাধ্যমে , শরীরের সকল জায়গায় গিয়ে শরীরের প্রতিটি কোষের শক্তি যোগায় সে কারনে অনেক সময় হার্টের শিরা ধমনী তে গিয়ে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত অথবা সময় মত শক্তি দিতে না পারায় হার্ট এটাক্ট ( যা কিনা বেথা বিহীন হার্ট এটাক্ট ) বা ইনফেকশন বা ক্রনিক স্ট্যাবল এনজিনা হওয়ার সম্বাভনা থাকে- কারণ রক্তে সুগারের পরিমাণ বেশী থাকলে তাদের রক্তে অণুচক্রিকা খুব তাড়াতাড়ি রক্ত জমাট বাঁধে ( অর্থাৎ হার্টের শক্তি ঠিক মত যোগান দিতে অক্কম হয়ে যায় ) অথবা অনেক কেত্রে মস্তিস্কের ছোট ছোট শিরা ধমনিতে ঠিক মত শক্তি যোগাতে না পেরে স্ট্রোক হয়ে যায় । চোখের ছোট ছোট সিরা সমূহ ব্লক হয়ে অন্ধত্ত অথবা কারও কারও চাউনি পরে খুব তাড়া তাড়ি ( যাকে ডায়াবেটিসজনিত ছানি বলে ) – চামড়ার নিচে ঠিক মত অক্সিজেন যেতে না পারা ও গ্লকোজ জমে গিয়ে সেখানের ঘা শুকাতে দেরি হয় বা যার কারনে ইনফেকশন দেখা যায় । মখের মাড়ির প্রদাহ বেড়ে যায় কারণ সেখানে গ্লকোজ বেশী জমাট বাদে, – শরিরে স্পর্শ কাতর ও উদ্দিপনার মুল কাজ করে স্নায়ু কিন্তু যখন এই স্নায়ু বা শিরার ভিতরে গ্লকুজ জমাট হয়ে পড়ে তখন স্নায়ু সমূহ অবশ হয়ে পড়ায় অনেকের যৌন শক্তি হ্রাস বা অনেক কিছু অকার্যকর হয়ে প্রতে পারে – তাই বুজতেই পারছেন, আমাদের যেমন শরিরে গ্লকোজ ও অক্সিজেনের দরকার টিক তেমনি গ্লকোজের মান বন্টনের জন্য ইনসুলিন হরমোনের ও দরকার – তাই বিজ্ঞান অনুসারে –অতিরিক্ত গ্লকোজ বাড়তির ফলে রক্তের সাথে এই গ্লুকোজ শরীরের সব জায়গায় যেতে পারে। ব্লাড ভেসেল ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের আছে। যেমন চোখের মধ্যে, পায়ের মধ্যে ছোট। ওই সব ব্লাড ভেসেলের মধ্যে গ্লুকোজ গিয়ে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে অক্সিজেন ওই জায়গায় পৌঁছাবে না, ( গ্লকুজ ক্লট হওয়ার কারনে ) তখন ওই জায়গা খাবারের অভাবে মারা যেতে পারে। যে কারণে ডায়াবেটিক রোগীরা পায়ে ঘা বেশী ই হয়। কেন অতিরিক্ত ওজন মা মেদ বাড়লে ডায়াবেটিস হয়ে যেতে পারেঃ– শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার খেলে খাবারের বেশি অংশটুকু চর্বি আকারে শরীরে জমতে থাকে। সেই চর্বি বার হার্টের রক্ত সাপ্লাই দিতে অনেক সমস্যা করে অন্যদিকে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ায় অতিরিক্ত গ্লকোজ তৈরি হয় বিধায় অতিরিক্ত ইন্সুলিনির দরকার পড়ে – তাই হাল্কা ও মাধম ধরনের খাবার খেয়ে সব সময় অভ্যস্ত থাকলে ভাল -ডায়াবেটিস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়িয়এ দিয়ে অন্যান্য অসুখের সাথে যোগ দিয়ে মৃত্যুর মত মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করে। ডায়াবেটিস হয়েছে কিভাবে বুঝবেনঃ- মনে রাখবেন যে কয়টি অসুখ মানুষের দীর্ঘমেয়াদী ভোগান্তীর সৃষ্টি করে তার মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ( রাতে ঘুম ভেঙে প্রস্রাবের প্রবণতা ) খুব বেশী পিপাসা লাগা, বেশী ক্ষুধা পাওয়া ( কিন্তু দিন দিন খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হচ্ছে বলে মনে হবে ) যথেষ্ঠ খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যাওয়া, ক্লান্তি ও দুর্বলতা বোধ করা, ক্ষত বা ঘা শুকাতে দেরী হওয়া, খোশ-পাঁচড়া, ফোঁড়া, প্রভৃতি চর্মরোগ দেখা দেওয়া, চোখে কম দেখা, মাথা ঘোরা, কোন কাজে উৎসাহ না পাওয়া, বার্ধক্য ছাড়াই যৌনক্ষমতা ক্রমেই কমে যাওয়া, মহিলাদের মেন্সট্রোয়েশনের গোলমাল, কারও কারও শ্বাসে ফলের গন্ধ, ও বদমেজাজ, কারও কারও দুর্বলতা এত বেশি হয় যে, কোন ভারি বা বাড়তি কাজকর্ম ছাড়াই যখন তখন হাঁফ ধরে যায় ( তবে প্রাথমিক ভাবে ডায়াবেটিস হলে অনেকেরই অন্যান্য উপসর্গ তেমন একটা থাকে না, অন্য কোন অসুখের জন্য বা অপারেশনের আগে রম্নটিন রক্ত পরীক্ষা করতে গিয়ে ডায়াবেটিস ধরা পড়ে অনেকের ) লক্কন দেখা দিলেই আপনার উচিৎ সাথে সাথে রক্ত ও প্রস্রাব পরিক্কা করে নেওয়া – তখন বুজতে পারবেন আপনার ডায়াবেটিস হয়েছি কি না। ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হলে কি কি বিপদ হতে পারেঃ–( জেনে রাখা ভাল৷ ) পক্ষাঘাত, স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতা, হৃদরোগ, পায়ে পচনশীল ক্ষত, চক্ষুরোগ, মূত্রাশয়ের রোগ, প্রস্রাবে আমিষ বের হওয়া, পাতলা পায়খানা, যক্ষ্না, মাড়ির প্রদাহ, চুলকানি, ফেঁাড়া, পাঁচড়া ইত্যাদি৷ এ ছাড়া, রোগের কারণে যৌন ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি ওজনের শিশুর জণ্ম, অকালে সন্তান প্রসব, জণ্মের পরই শিশুর মৃতু্ এবং নানা ধরণের জণ্ম ত্রুটি দেখা দিতে পারে৷ রোগীদের ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও শরীরের ওজন বাঞ্ছিত ওজনের কাছাকাছি রাখা উচিত্‌৷ ডায়াবেটিস রোগীদের উচ্চ রক্তচাপের রোগ থেকে যে সব জটিলতা দেখা দেয় তখন শরীরের অন্য আরেকটি রোগ একত্র হলে জটিলতা আরও বেড়ে যায়৷ ডায়াবেটিসের সঙ্গে ধূমপান যুক্ত হলে রোগের জটিলতা বেশী দিতে পারে। শনাক্তকরণ বা নিশ্চিত হবেন কি ভাবেঃ যদি চিনির মাত্রা ৫.৮ এর বেশি, কিন্তু ৭.৮ মিলিমোলের কম হয়, তবে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আছে মনে করবেন তবে ( খালিপেটে ) যাকে প্রি-ডায়াবেটিস হিসেবে ধরা হয়। যা ঘরে বসে গ্লুকোমিটার ব্যবহার করে দেখতে পারেন । এটি একটি বিশেষ ধরনের কম্পিউটারাইজড যন্ত্র। এতে সুবিধা হল রক্তে সুগারের পরিমাণ বেশি না কম তা অতিদ্রুত কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নির্ণয় করা সম্ভব। হাতের আঙুলের মাথা থেকে এক ফোঁটা রক্ত নিয়ে যন্ত্রের নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনার রক্তের সুগারের পরিমাণ কত তা যন্ত্রটির মনিটরে রিডিং হিসেবে দেখতে পাবেন। স্ট্রিপ দিয়ে : প্রস্রাবে সুগার, এলবুমিন এবং কিটোনবডি দেখতে পারেন বিশেষ কাঠি (ওয়াইডি স্ট্রিপ) পরীক্ষার মাধ্যমে। আপনি যখন প্রস্রাব করবেন তখন কাঠিটি প্রস্রাবে ভেজাবেন। সঙ্গে সঙ্গে তুলে প্রস্রাবের পানি ঝেরে ফেলে দেবেন। ১ মিনিট অপেক্ষা করবেন। যদি এর মধ্যে রঙের পরিবর্তন ঘটে তবে নির্দিষ্ট বাক্সের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে জেনে নিতে পারেন আপনার প্রস্রাবে সুগার যাচ্ছে কিনা কিংবা- আপনার চিকিৎসকের পরামর্শে হিমোগ্লোবিন এ১সি পরিক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। আমাদের রক্তের লোহিত কণিকায় রয়েছে হিমোগ্লোবিন নামক একটি রাসায়নিক উপাদান৷ এই হিমোগ্লোবিনের গ্লোবিন নামক প্রোটিনের সাথে রক্তের কিছু গ্লুকোজ ধীরে ধীরে সংযুক্ত হয়৷ এইভাবে যে স্থায়ী পদার্থটি তৈরী হয়, তার নাম গ্লাইকোসাইলেটেড্ হিমোগ্লোবিন বা হিমোগ্লোবিন বি১সি (HbA1c)৷ রক্তে এই গ্লাইকোসাইলেটেড্ হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ নির্ভর করে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার উপর৷ সুতরাং ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে গ্লুকোজ বেড়ে যায় এবং সাথে সাথে বেড়ে যায় হিমোগ্লোবিন এ১সি (HbA1c) ৷ আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রক্তের লোহিত কণিকাগুলো যেহেতু গড়ে ১২০ দিন বেঁচে থাকে, সে জন্য HbA1c আমাদেরকে বিগত ৩-৪ মাসের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রার গড় হিসাব বলে দেয়৷ সাধাণতঃ HbA1c ৭% বা তার কম থাকলে ডায়াবেটিস স্বাভাবিক আছে বলে ধরে নেওয়া যায়৷ এ ছাড়া দৈহিক ওজন নেয়া (বিএমআই)–কিটোন–এলবোমিন (ম্যাক্রো ও মাইক্রো এলবোমিন) ইত্যাদি তো আছেই। চিকিৎসাঃ- ডায়াবেটিস ( ডি এম ১ ) ইনসুলিন নির্ভরশীল যাদের তাদের সারা জিবন ঔষধ নিতেই হবে তবে , কম বেশী -কারণ যেহেতু শরিরে ইনসুলিন হরমুন তৈরি বন্ধ হয়ে গেছে সে জন্য – তার পর ও মাত্রা কম বেশী নির্ভর করবে, খাদ্য অভ্যাস ও চাল চলনের উপর – বিশেষ করে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন ( চামড়ার নিচে s/c দিতে হয় ) অথবা নতুন বাজারে ভাল কিছু ইনহেলার বাহির হয়েছে তা ও ইঞ্জেকশনের পরিবর্তে ব্যাবহার করতে পারেন। ( আমার জানা মতে একজন পুরাতন ডায়াবেটিস রোগী সাধারণ একজন চিকিৎসকের চাইতে বেশী অভিজ্ঞতা থাকার দরকার তার নিজের অসুখের জন্য ) আর যদি না থাকে তা হলে অনুরোধ থাকবে আর ও ভাল করে জানার , তাই ইনসুলিন আপনাকে দিতেই হবে – ইনসুলিন ইনজেকশনের টাইপগুলো স্বল্পমেয়াদী বা র্যাপিড একটিং ইনসুলিন: একট্রাপিড এইচ এম, হিউমিলিন আর, ইনসিউম্যান র্যাপিড, নভোর্যাপিড (ইনসুলিন অ্যাসপার্ট)। মধ্যমেয়াদী বা ইন্টারমিডিয়েট এ্যাকটিং ইনসুলিন: ইনসুলেটার্ড এইচ এম, হিউম্যালিন এইচ, ইনসিউম্যান ব্যাসাল, প্রিমিঙ্ড- মিঙ্টার্ড- ৩০, মিঙ্টার্ড- ৫০, নভোমিঙ্- ৩০। দীর্ঘমেয়াদী বা লং এ্যাকটিং ইনসুলিন: ( বিস্তা-রিত আপনার চিকিৎসকের উপদেশ অনুযায়ী গ্রহন করবেন ) যেহেতো সারা জিবন ঔষধ খেতে হবে ) বা সাথে Oral Hypoglysemic Agents – Metformin, Glipizide, Repaglinide etc এই ঔষধ গুলো মুখে খাওয়ার জন্য, চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন। ডায়াবেটিস মেলাইটাস ২- ( ডি এম ২ ) যাদের ইনসুলিন তৈরি হয় ঠিক কিন্তু ঠিক মত বন্টন হইতেছে না, তাদের বেলায় প্রাথমিক ভাবে সামান্য ট্যাবলেট খেতে হলে ও যদি নিচের অভ্যাস গুলো মেনে চলেন, আমার মনে হয়না, আর বাড়তি ঔষধ খেতে হবে না পরবর্তীতে বাজারে যে সব ঔষধ ব্যাবহার করা হয়। ক্লোরপ্রোপামইড ( Chlorhense, Diabinese)– গ্লাইবেনফ্রেমাইড Diabenol, Glocon, Glucotab, Glucon ইত্যাদি- গ্লাইপিডাহিড ( Diactin, Minidiab ) তবে গ্লকুজের পরিমানের উপর নির্ভর করবে আপনার সরা সরি ইনুসুলিন ইঞ্জেকশন লাগবে কি না – কিন্তু একটি কথা মনে রাখবেন যদি ডায়রেক্ট ইনসুলিন দিতে থাকেন তা হলে অনেক সময় আপনার শরীর থেকে যে অল্প অল্প ইনসুলিন তৈরি হয় তা ও অনেক সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে – সে যাক ডায়াবেটিক্সের প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি যদি নিচের পরামর্শ বা বিধি নিশেধ মেনে চলতে পারেন তা হলে দেখবেন কিছু দিন পর আপনার ঔষধের উপর নির্ভরশীলতা কমে গেছে ( তবে সর্ত একটাই আপনার খাদ্য রুচির যে লোভ আসবে তা সামলাতে হবেই, কেন না এ সময় যা নিশেধ তাই খেতে ইচ্চা করে ) –B-complex vitamin ও vitamin C সাপ্লিমেন্ট হিসাবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জরুরী -( রক্তের প্রোটিনের সাথে সুগারের বন্ধন কমিয়ে দেয় ভিটামিন-সি। আর এই বন্ধন কমিয়ে দেয়ার কারণে ডায়াবেটিসের জটিলতা কমায় বেশ। হারবালঃ- Herbs that may have a role in the management or prevention of diabetes include) তার পর ও ওয়েস্টার্ন পধতিতে যা ব্যাবহার করা হয় তার মধ্যে যা খুভ সম্বভ ট্যাবলেট / ক্যাপসুল হিসাবে বাজারে আসার জন্য অনুমতির অপেক্কায় আছে – মুলত সব কিছুই নিচের উপাদান দিয়ে তৈরি- Gymnema ( beneficial in patients with type 1 or type 2 diabetes ) / Cinnamon- ( intake of 1, 3, or 6 grams of cinnamon per day reduced glucose, নতুন ভাবে প্রমাণিত ) Nordic ZUCCARIN বেশ ভাল ফল মিলতেছে – Chromium Picolinate Tablets 1000mc ( ইহা অজন কমানুর জন্য ও ব্যাবহার হইতেছে ) — DIABECON GlucoCare ইত্যাদি — সাপ্লিমেন্ট হিসাবে এলোপেথ ঔষধের সাথে ব্যাবহার হইতেছে । নিচের লাইনগুলি যদি মনযোগ দিয়ে দেখেন তা হলে আমার মনে হয় ডি এম ২ টাইপের ডায়াবেটিস হলে ও কিছু দিন পর ঔষধ না লাগতে পারে –খাবার যে সব খাবারে ক্যালোরী কম থাকে যেমন শাক-সবজি, ,শশা ও টক ফল ইত্যাদি আঁশবহুল খাবার বেশী পরিমান খাওয়া -(উদ্ভিজ প্রোটিন বা দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রোটিন যেমন-ডাল, মটরশুটি, সিমেরবীচি বা যে কোন বীচি জাতীয় খাবার কমিয়ে খাবেন ) – ( ভাতে ক্যালোরীর পরিমান বেশী থাকায় যতটুকু সম্বভ কমানুর চেস্টা করা বিশেষ করে রাতের বেলায় কারণ এ সময় শারীরিক পরিশ্রম কম হয় বিধায় গ্লুকুজের রিজার্ভ বেড়ে যায় তাই ভাত বা চাল,আটা দিয়ে তৈরী খাবার,মিষ্টি ফল ইত্যাদি কিছুটা হিসেব করে বা পরিমানে কম খাবেন। – মনে রাখবেন ভাতের চাইতে আলুতে ক্যালোরি কম থাকে। সরাসরি মিষ্টি বা চিনি জাতীয় খাবার বন্ধ করে দেওয়া ( চিনি, মিষ্টি, গুড়, মধুযুক্ত খাবার ) ভেষজ তেল,সরিষার তেল ইত্যাদি এবং সব ধরনের মাছ খাওয়া অভ্যাস করতে হবে ( ফাঙ্গাস মাছ বাদে ) , নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেতে হবে৷ কোন বেলার খাবার খাওয়া বাদ দেওয়া ঠিক নয় ( আজ কম, কাল বেশি-এভাবে খাবার খাওয়া ঠিক নয় ) আর ইচ্ছামতো খাওয়া যাবে (ক্যালরীবিহীন বা স্বল্প ক্যালরীযুক্ত খাদ্য) চর্বিজাতীয় খাবার কম খাবেন ( গরু বা খাসীর মাংস এড়িয়ে যাবেন ) বাজারের তরল ড্রিংক জাতীয় পানিয় সম্পূর্ণ রুপে ত্যাগ করুন -অতিরিক্ত লবণ খাবেন না তবে হা পানি বেশী খাবেন। ব্যায়াম- রোগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ব্যায়াম বা শরীর চর্চার ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম করলে শরীর সু্‌স্থ থাকে,ইনসুলিনের কার্যকারিতা ও নি:সরনের পরিমাণ বেড়ে যায়। প্রতিদিন অন্তত: ৪৫ মিনিট হাঁটলে শরীর যথেষ্ঠ সু্‌স্থ থাকবে। শারীরিক অসুবিধা থাকলে সাধ্যমত ধীরে বুজে তা করবেন- আর যদি শারীরিক অন্যান্য কোন অসুবিধা না থাকে তা হলে কাজ কর্ম ও করেন ঠিক মত ( ইহা ও ব্যায়াম ) মনে রাখবেন অলস মানুষের ব এই অসুখ বেশী হয় -এমন ব্যায়াম বা পরিশ্রম করতে হবে যাতে শরীর থেকে ঘাম ঝরে। হঠাৎ খুব কঠিন ব্যায়াম শুরু না করে প্রথমে ওয়ার্ম আপ বা হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করতে হবে যা ধীরে ধীরে গতি বাড়াতে হবে। – একটানা অধিক সময় বসে কাজ করবেন না মেদ ভুড়ি হওয়ার আগেই তা কমিয়ে রাখা ভাল বা যাতে না হয় সে দিকে আগে ভাগে খেয়াল রাখবেন ( বিশেষ অনুরুধ তরুন্/তরুনিদের তারা যেন ফিজেকেল কাজ কর্ম করেন প্রতিদিন অন্তত কয়েক ঘন্টা ) – বাংলাদেশে কিছু কিছু প্রতিস্টানের বিজ্ঞাপন দেখলাম , তাহারা সরা সরি মেদ ভুড়ি কমিয়ে ডায়াবেটিক্স থেকে রেহাই দিতে চান এবং ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে থাকেন , তাই দয়া করে এ ধরনের বিজ্ঞাপনের পাল্লায় পরে নিজকে ধংস না করা ভাল, হা আপনি নিজেই বুজবেন অসুখ হলে, কিসের জন্য হয়েছে – মেদ ভুড়ির কারনে হলে প্রথম থেকেই ঠিক মত ডায়েট করতে থাকলে তা কমে যাবে । অর্থাৎ শরীরের সঠিক ওজন বয়সের সাথে যেন মিল থাকে। ঔষধ– সকল ডায়াবেটিক রোগীকেই খাদ্য,ব্যায়াম ও শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে,বিশেষ করে বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে,এই দুইটি যথাযথভাবে পালন করতে পারলে রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন ইনজেকশনের দরকার হয়। টাইপ-২ ডায়বেটিস রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসক শর্করা কমাবার জন্য খাবার বড়ি দিতে পারেন এবং সেই সাথে ডায়েট অবশ্যই জররি । তবে ইদানীং নতুন হারবাল সাপ্লিমেন্ট ঔষধ সমূহ ভাল রেজাল্ট দেখতেছি ( আপনার চিকিৎসকের পরামর্ষে ব্যাবহার করে দেখতে পারেন ) -মানিশিক দুশ্চিন্তা ডায়াবেটিস বাড়িয়ে দেয় ৫১% ( হরমুন নিয়ন্ত্রণে ও নিঃসরণ করতে বেশ ত্রুটি দেখা দেয় বিধায় ) তাই চিন্তা কম করা – আর যদি বুজেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাইতেছে- তা হলে সাথে সাথে আপনার চিকিৎসকের সাথে যোগা যোগ করা উচিৎ শিক্ষা- ডায়াবেটিস আজীবনের রোগ। সঠিক ব্যবস্থা নিলে এই রোগকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ব্যবস্থাগুলি রোগীকেই নিজ দায়িত্বে মেনে চলতে হবে এবং রোগীর পরিবারের নিকট সদস্যদের সহযোগিতা এ ব্যাপারে অনেক সাহায্য করতে পারে। তাই এ রোগের সুচিকিৎসার জন্য ডায়াবেটিস সর্ম্পকে রোগীর যেমন শিক্ষা প্রয়োজন, তেমনি রোগীর নিকট আত্মীয়দেরও এই রোগ সর্ম্পকে কিছু জ্ঞান থাকা দরকার। জীবনযাপনের ধারায় পরিবর্তন আনুনঃ- ব্যক্তিগত অভ্যাস ও লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন আনা জরুরি। যে কাজ নিজে করা যায় তা অন্যকে না দিয়ে নিজে করে নেওয়া- বাগান, বা সামাজিক/ ধর্মীয় কিছু কাজকর্মে জড়িয়ে থাকা- প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে স্তান পরিবর্তন করা ( ভ্রমণ জাতীয় ) তবে শিত প্রধান দেশে থেকে বিরত থাকাই ভাল – ধুম পানের অভ্যাস থাকলে তা অবশ্যই বন্ধ করবেন হঠাৎ উত্তেজিত হওয়ার অভ্যাস থাকলে তা দূর করার চেস্টা করবেন , ইত্যাদি। এবার আসি ডায়াবেটিস রোগীর শরিরে গ্লকুজ বাড়লে ( Hyperglycemia ) বা কমলে ( Hypoglycemia ) কি কি হতে পারেঃ— যার ডায়াবেটিক হয়ে গেছে এবং ইন্সুলিন বা ওষুধ নিচ্ছেন, তিনিদের বেলায় গ্লকুজের পরিমান ৭ এর নিচে নামলেই Hypoglycemia রিস্ক অনেক বেড়ে যায়। ( রক্তের গ্লকুজ কমে যাওয়া ) — রক্তে গ্লকুজের পরিমাণ কমানোর জন্য ট্যাবলেট বা ইনসুলিন দেয়া হয়। ট্যাবলেট খাওয়ার বা ইনসুলিন নেয়ার ফলে যদি শর্করার পরিমাণ খুব কমে তাহলে শরীরে প্রতিক্রিয়া হতে পারে।–প্রতিক্রিয়ার লক্ষণগুলি নিম্নরূপ:–হটাত অসু্‌স্থ বোধ করা খুব বেশী খিদে পাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, শী ঘাম হওয়া, শরীর কাঁপতে থাকা শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা, অস্বাভাবিক আচরণ করা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। কারনঃ- ঔষধের (ট্যাবলেট বা ইনসুলিন) পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় বেশী হলে–ইনসুলিন ও সিরিঞ্জ একই মাপের না হলে–বরাদ্দের চেয়ে খাবার খুব কম খেলে বা খেতে ভুলে গেলে ইনসুলিন নেয়ার পর খুব দেরী করে খাবার খেলে হঠাৎ বেশী ব্যায়াম বা দৈহিক পরিশ্রম করলে বমি বা পাতলা পায়খানার জন্য শর্করা অন্ত্রনালী হতে শোষণ না হলে ইত্যাদি । তখন কি করা উচিৎঃ- রক্তে শর্করার অভাব হলে কি করা উচিৎ, প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়া মাত্র রোগীকে চা-চামচের ৪ থেকে ৮ চামচ গ্লুকোজ বা চিনি এক গ্লাস পানিতে গুলে খাইয়ে দিতে হবে বা মিস্টি ফলের জুস । রোগী অজ্ঞান হয়ে গেলে মুখে কিছু খাওয়ার চেষ্টা না করে গ্লুকোজ ইনজেকশন দিতে হবে বা তাকে এবং প্রয়োজনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। Hyperglycemia বা গ্লকুজ বেড়ে গেলেঃ অপর্যাপ্ত ইনসুলিন নিলে বা ইনসুলিন নির্ভরশীল রোগী ইনসুলিন একেবারে না নিলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে বিপর্যয় দেখা যায় – আবার পর্যাপ্ত ইনসুলিনের অভাবে এই চর্বি অতিরিক্ত ভাঙ্গার ফলে কিছু ক্ষতিকর পদার্থ (কিটোন বডিস্) ও অম্ল রক্তে বেড়ে যায়, ফলে এসিটোন নামক একটি কিটোন বডির পরিমাণ বেশি মাত্রায় বেড়ে গিয়ে অম্লতার জন্য রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়৷ এই অবস্থাকে ডায়াবেটিক কোমা বলা হয়ে থাকে — কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে — ) প্রস্রাব গ্লকুজের পরিমাণ খুব বেশি বেড়ে যাওয়া–খুব বেশি পিপাসা লাগা– ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া,–অত্যন্ত বেশি ক্ষুধা লাগা,– খুব অসুস্থ বোধ হওয়া,– ববি ভাব হওয়া,– দুর্বলতা বোধ হওয়া,– ঝিমানো,– শ্বাস কষ্ট হওয়া,– দ্রুত শ্বাস নেওয়া,– মাথা ধরা,– চোখে ঝাপসা দেখা,– নিস্তেজ বোধ হওয়া,– শ্বাসে এসিটোনের গন্ধ বের হওয়া৷ কেন গ্লকুজের পরিমান বাড়তে পারে তা আপনার জেনে রাখা উচিৎঃ- বেশি খাবার খেলে,–ব্যায়াম বা দৈহিক পরিশ্রম না করলে, পরিমাণের চেয়ে কম ইনসুলিন নিলে–ডায়াবেটিসের ট্যাবলেট খেতে ভুলে গেলে বা না খেলে–কোন সংক্রামক বা প্রদাহজনিত রোগ হলে বা মানসিক বিপর্যয় দেখা দিলে–অন্য কোন রোগের চিকিত্‌সার সময় ডায়াবেটিসের চিকিত্‌সা বন্ধ রাখলে৷ এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে আপনার কি করা উচিৎ- শরীরে পানি স্বল্পতা কমার জন্য অতিরিক্ত লবণ মিশ্রিত পানি খেতে পারেন ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে ( ভাল হবে, যদি গ্লুকুজ পরিক্কার মনিটার হাতের কাছে থাকে – তখন কনফার্ম হতে সুবিধা হবে ) প্রস্রাবে কিটোন বডি আছে কি না তা পরীক্ষা করতে হবে, বা তাড়া তাড়ি চিকিত্‌সকের সহায়তা নিতে হবে৷ এ ছাড়া আর ও অনেক জটিলত আছে , শরীরের অটোনমিক স্নায়ু ব্যবস্থার দিকে খেয়াল রাখবেন – নতুবা নারী পুরুষ সকলের কেত্রেই রেট্রাগেটেড বীর্যপাত সহ হরমুন জনিত যৌন রোগের সুত্র পাত হবেই – অন্য দিকে পা , চোখ ( সুক্ক স্নায়ুর অঞ্চল ) বা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের দিকে খেয়াল রাখবেন যাতে না কাটা ফোড়া ইত্যাদি না হয় – এ সব হওয়ার সম্বাভনা থাকলে দয়া করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সরনাপন্ন হতে ভুলবেন না – ধন্যবাদ তথ্য সংগ্রহঃ WHO, Bangladesh diabetes society, liverpol uni, Hormon reserch int UK, uni of meryland, NHS and famous hormon specilist physician from bangladesh & UK - See more at: healthbarta/2014/05/27/997/#sthash.r1Uucg8y.dpuf
Posted on: Sun, 21 Sep 2014 00:04:32 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015