একজন সত্যিকারের - TopicsExpress



          

একজন সত্যিকারের প্রফেসরের Profess করা এবং একজন AKM Wahiduzzan টাইপ দলীয় কোটায় প্রফেসর হওয়া চ্যাংড়াদের কথা প্রফেসর গোলাম আযম। আবারও বলছি Professor Ghulam Azam. তিনি সঠিকভাবে, উত্তমভাবে Profess করেছেন ইসলামের শিক্ষা। তিনি লেখা ও কর্মেই একজন পুর্ন প্রফেসর। প্রফেসর শব্দটির বাংলা হলো অধ্যাপক। কোন কোন দেশে প্রফেসর র‍্যাংক দেয়া হয় বেতন স্কেলে সিনিওরিটি পরিমাপের জন্যে, কোন কোন দেশে দেয়া হয় সেকেন্ডারি এডুকেশনের পরের লেভেলের টিচিং ও রিসার্সে উচ্চতর অবদানের অন্যে। আমাদের দেশে কলেজ বা ভার্সিটিতে যখন কেউ টিচার হয় তখন তাঁকে শুরুতে যে পদ দেয়া হয় তা হলো লেকচারার। কিছুদিন পরে পদোন্নতি পেয়ে তা হয় সহকারী অধ্যাপক (যা অধ্যাপকেরই একটি প্রকরন)। আরো কিছুদিন পরে পদোন্নতি পেয়ে হন সহযোগী অধ্যাপক। এরপর কেউ পদোন্নতি পেলে তাঁকে কেবল অধ্যাপক শব্দ দিয়ে অফিসিয়াল কাগজপত্রে লেখা হয়। কিন্তু ইংল্যান্ডে কেউ প্রথমে শুরু করে জুনিয়র লেকচারার হিসেবে (যা আমাদের দেশে বা আমেরিকাতে লেকচারার পর্যায়ের), পদোন্নতি পেয়ে হয় লেকচারার (যা এখানে বা আমেরিকাতে এসিট্যান্ট প্রফেসর পর্যায়ের), আরো পদোন্নতি পেয়ে হয় সিনিয়র লেকচারার (যা এসোসিয়েট প্রফেসর বা সহযোগী অধ্যাপক পর্যায়ের), এবং তারপর পদ খালী থাকা সাপেক্ষে প্রমোশন পেয়ে প্রফেসর হন। আমার এখানে ডেনমার্কের অলবোর্গ থেকে পিএইচডি করে (যাদেরকে early stage researcher বলা হয়) কেউ সুযোগ পেয়েছে এসিসটেন্ট প্রফেসর হবার, কেউ সুযোগ পেয়েছে সরাসরি এসোসিয়েট প্রফেসর হবার। মুলত এই পদবীগুলো নির্ভর করেছে প্রধানত পদ খালী থাকা বা হওয়ার উপরে, অন্যকোন একাডেমিক যোগ্যতার কারনে নয়। পদ যদি লেকচারারের খালি থাকতো, এরা লেকচারারই হতো। উইকিপিডিয়া বা গুগলে প্রফেসর বা লেকচারার নিয়ে সার্চ দিলেও আপনারা দেখবেন যে এ নামকরনগুলো কেবলই কালচারাল বিষয়। কিন্তু লেকচারার থেকে শুরু করে অফিসিয়ালি প্রফেসর পর্যন্ত সবার কাজ একটি, আর তা হলো Profess করা বা অধ্যাপনা করা। সবাই প্রফেসরই বটে। তাই একজন জ্ঞানী বিচক্ষন ব্যক্তিকে যিনি উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পদে ছিলেন, তাঁকে (প্রফেসর গোলাম আযমকে) প্রফেসর বলতে যদি কারো চুলকানী লাগে তাহলে যার চুলকানী লাগছে তাঁর প্রফেসরিত্ব নিয়েই বরং প্রশ্ন উঠবে বেশী। কারন যে জ্ঞান তাকে profess করতে বলা হয়েছে সে জ্ঞানের সঠিক দর্শনই সে নিজে আদৌ পেয়েছে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। চুলকানী ওয়ালা ব্যক্তি Akm Wahidduzzam টাইপ ব্যক্তি হলে বরং আরো প্রশ্ন উঠবে তাঁর আজকের প্রফেসরশীপের চাকুরি কি জ্ঞানের ভিত্তিতে হয়েছিল নাকি দলীয় কোটায়! সবজান্তা ভাব নেয়া, চাকুরি ছেড়ে দেব অমুক প্রমান করতে পারলে, তা একজন প্রফেসরের স্ট্যাটাস হতে পারে নাকি একটা চ্যাংড়া পোলার স্ট্যাটাস হতে পারে তা সাধারনভাবে মানুষ বোঝে। তা AKM Wahiduzzam সাহেব! ফেসবুকে কয়টা লাইক পড়ায় হুশ হারাইয়া ফেললেন নাকি কথাবার্তার!! বিদ্রঃ গোলাম আযম সাহেব রংপুর কলেজে শিক্ষকতা করেছেন লেকচারার হিসেবে প্রায় সাড়ে তিন বছর। ইসলামী আন্দোলনের কাজে দায়িত্ব পালনের জন্যে তিনি সে চাকুরি ছেড়ে দেন। কিন্তু জ্ঞান ও ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষকতার যে অপরিসীম শ্রদ্ধার ভুবন তিনি তৈরি করেছেন তা কখনো তাঁকে প্রফেসর ভিন্ন অন্য কিছু ভাবায়নি কারো কাছে আজ পর্যন্ত। কারন একজন প্রফেসরের কাজ হিসেবে জ্ঞান সৃষ্টী ও বিতরনের জন্যে তাঁর লেখা শতাধিক বই, শত শত লেকচারই যথেষ্ট। প্রফেসর গোলাম আযমের পরিচয়ের জন্যে প্রফেসর শব্দটি লাগে না, কিন্তু প্রফেসর শব্দটি মহিমান্বিত হয় এমন বিদদ্ধ মানুষের নামের পাশে বসালে। প্রফেসর গোলাম আযমের সাহের পুত্র Abdullahil Amaan Azmi তাঁর পোষ্টে ভুল করেননি। বরং যে স্টুপিডীটির প্রকাশ অন্যরা করতে পারেনি ভয়ে, তিনি তা উত্তমভাবে প্রকাশ করেছেন নির্ভীকভাবে। সেল্যুট টু হিম। - Mohammad Ahsanul Haque Arif
Posted on: Thu, 30 Oct 2014 19:45:05 +0000

Trending Topics



hank you for your quick
Contd from 08-08-14........ E- Satsang members missed out all our

Recently Viewed Topics




© 2015