@গনতন্ত্র কি - TopicsExpress



          

@গনতন্ত্র কি হারাম??:--- প্রথমে যারা বলে গণতন্ত্র কুফরি/হারাম। তাদের জিজ্ঞেস করবেন গণতন্ত্র কেন কুফরি/হারাম? শিওর থাকেন ওদের বেশিরভাগই এই প্রশ্নের কোন নির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারবে না। random কিছু কথাবার্তা বলবে। আমি আপনাকে বলি গণতন্ত্র কুফরি এর মূল কারণ দুইটা- ১) গণতন্ত্রে বলা হয়ে থাকে যে ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’ যেটা সুস্পষ্ট কুফরি কথা। ২) গণতন্ত্রের পার্লামেন্টে সংখ্যাধিক্য ফলো করে। ফলে সংখ্যাধিক্যের জোরে হালালের হারাম হয়ে যাওয়া কিংবা হারামের হালাল হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন ধরুন সমকামিতার মতো বিষয়গুলি। মূলত এই দুটি বিষয় ছাড়া গণতন্ত্রের সাথে ইসলামের ব্যাপক মিল আছে। গণতন্ত্র মানুষের মৌলিক অধিকার, ব্যক্তি স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়,অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে শেখায়, বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা দেয়, শাসকদের স্বেচ্ছাচারিতা রোধ করে, জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করে। এই বিষয়গুলিতে ইসলামের আপত্তি নেই বরং এই বিষয়গুলির প্রতি ইসলাম যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে। যেমন বলা যায় মজলিশে শূরার কথা। এখন দেখা যাক গণতন্ত্রের কুফরি অংশগুলো আমরা কিভাব দূর করবোঃ গণতন্ত্র ব্যবস্থার দুটো component হলো- ১) voting system এ দলের ক্ষমতায় যাওয়া ২) সংবিধান ও পার্লামেন্ট ১ নং পয়েন্টের ব্যাপারে বলা যায় voting নিয়ে ইসলামের আপত্তি নেই। খুলাফায়ে রাশেদিন ও তৎপরবর্তী যুগের ন্যায়পন্হী খলিফারা (রাজতান্ত্রিকরা নয়) জনগণের ভোটেই ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন যদিও প্রকৃতিগত পার্থক্য ছিল। ঐ সময় জনগণ যার হাতে বাইয়াত নিতেন সেই খলিফা হতেন। অর্থাৎ জনগণের মতামত গণ্য করা হতো। দেখতে পারেন উমার ইবনে আবদুল আজিজের (রহ) খিলাফাতের ঘটনা। যারা এর বিরোধিতা করে তাদের জিজ্ঞেস করেন তাদের কথিত খলিফা কিভাবে নিযুক্ত হবেন, জোরপূর্বক নাকি অহীর মাধ্যমে? একটি আপত্তি তোলা হয়ে থাকে যে জনগণ অজ্ঞতার কারণে বা অন্য কোন কারণে সঠিক ব্যক্তিকে vote নাও দিতে পারেন। এর উত্তরে আমরা বলবো- ক)দাওয়াতি কাজতো এ জন্যই, জনগণকে ইসলাম বুঝানোর জন্য, সতর্ক করার জন্য খ)প্রচলিত ব্যবস্থায়ও রাষ্ট্রপ্রধান ও সদস্য প্রার্থীদের প্রার্থীতার উপর বিভিন্ন শর্তারোপ করা হয়ে থাকে যেমন বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সম্পত্তি। প্রার্থীতার উপর কিছু দ্বীনি criteria (যেমন দ্বীনি ইলম, আমল, আখলাক) সংযুক্ত করা যেতে পারে গ) অনুরূপভাবে ভোটারদের ক্ষেত্রেও কিছু দ্বীনি শর্তারোপ করা যেতে পারে ঘ)শিক্ষাব্যবস্থার ইসলামীকরণ করা এবং ইসলামী রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা, রাষ্ট্র ও জনগণের ভূমিকা ও অবহেলার পরিণামের মতো বিষয়গুলো সংযুক্ত করা আরো একটি অভিযোগ করা হয়ে থাকে যে voting system এ তো একটি ইসলামী দল বারবার পরাজিত হতে পারে বা সফল নাও হতে পারে। আমি বলি সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমেও একই ঘটনা ঘটতে পারে এবং ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। আবার বলা হয় voting এ ইসলামপন্থীরা একবার ক্ষমতায় এসে পাঁচবছর পর ক্ষমতাচ্যুত হতে পারে। আমি বলি সশস্ত্র বিপ্লবের পদ্ধতিতেতো ৫ বছরের আগেই ক্ষমতাচ্যুত হতে পারে এবং এর সম্ভাবনাই বেশি, ইতিহাস এ কথারই সাক্ষ্য দেয়। একবার ভাবুনতো সশস্ত্র বিপ্লব ঘটাতে গিয়ে আপনি ব্যর্থ হলেন কিংবা বিপ্লব ঘটিয়ে পরবর্তীতে একটি কুফরি শক্তির কাছে পরাজিত হলেন, ভাবুনতো কী ঘটতে পারে?? ২ নং পয়েন্টে আসি। ইসলামপন্থীরা বিজয়ী হলে সংবিধানে প্রথমেই উল্লেখ করবে- “আল্লাহ সকল ক্ষমতার মালিক এবং উৎস।” ফলে কুফরির অভিযোগের ১ম পয়েন্ট দূর হলো। কুফরির অভিযোগের ২য় পয়েন্টটা হলো পার্লামেন্টে সংখ্যাধিক্যের জোরে হারাম হালাল হয়ে যাওয়া। এই সমস্যার সমাধানের জন্য just সংবিধানে একটি অতিরিক্ত ধারা যোগ করতে হবে যাতে উল্লেখ থাকবে- “কুরআন সুন্নাহ বিরোধী যেকোন আইন সর্বান্তক্রমে বাতিল হবে, এমনকি ১০০% সাংসদ ঐ বিধানের পক্ষে থাকলেও।” এতে করে সংসদ কার্যত making of law থেকে অব্যাহতি পাবে। ফলত দেখা যাচ্ছে যে কুফরির অভিযোগের দুটি পয়েন্টই কার্যত invalid হবে। ***[এই article এর সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ৮টি পয়েন্ট উল্লেখ করা হল। MUST READ] গুরুত্বপূর্ণ সংযুক্তিঃ ১) উপরের আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, আমরা যে ব্যবস্থার কথা বলছি তাকে ঠিক গণতন্ত্র না বললেও চলে। উস্তাদ মওদুদী (রহ) তাঁর ‘ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ’ গ্রন্থে এই ব্যবস্থাকে অভিহিত করেছিলেন ‘Theo Democracy’ বলে। অনেকে আবার Islamic Democracy পরিভাষা নিয়ে ঘোর আপত্তি তোলেন, ”কুফরি শব্দের সাথে ইসলাম তওবা তওবা!” উনারাই আবার অহরহ ইসলামী সংগীত শব্দটা ব্যবহার করেন। কেউ কেউ গণতন্ত্রকে হারাম প্রমাণ করতে আব্রাহাম লিংকন প্রদত্ত সংজ্ঞাটা আওড়ানো শুরু করেন। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলি গণতন্ত্রের কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই, নির্দিষ্ট রূপও নেই আর অনেক সমাজবিজ্ঞানী গণতন্ত্রের এরূপ সংজ্ঞা দিয়েছেন যাতে শিরকের লেশমাত্রও নেই। মনে রাখতে হবে যে বস্তুর কার্য এবং বৈশিষ্ট থেকেই সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়, সংজ্ঞা থেকে বৈশিষ্ট্য বা কার্য আবির্ভূত হয় না। মুফতি সাহেবানদের যখন জিজ্ঞেস করা হয় সংগীত হালাল কিনা, তখন উনারা উত্তর দেন, “বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার না করা হলে সংগীত হালাল।” অথচ সংগীতের বহুল প্রচলিত সংজ্ঞা হল, “গীত বাদ্য ও নৃত্য – এই তিন কলার একত্র সমন্বয়কে সংগীত বলে”। আপনি এখন চাইলে গোঁ ধরে বসে থাকতে পারেন যে সংগীতের সংজ্ঞাতেই তো বাদ্য থাকবে। শুধুমাত্র পরিভাষা নিয়ে যারা প্যাঁচাতে চায় তাদের জন্য একটা শিক্ষণীয় ঘটনাঃ আরব খৃষ্টান গোত্র বনু তাগলিবের লোকেরা জিজিয়ার পরিবর্তে দ্বিগুণ যাকাত প্রদানের জন্য উমার (রাঃ) কাছে অনুমতি চাইলো। উমার (রাঃ) সম্মত হলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন লোকেরা নির্বোধ, তারা কাজ মেনে নেয় কিন্তু নাম অস্বীকার করে। ২) অনেক ভাই ইসলামের বিজয়ের পূর্বেই ইসলামী বিধান চেয়ে বসছেন। এ ধরনের দাবী নিছক আবেগ ব্যতিত কিছুই নয়। আপনাকে আগে ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে। তারপরেই আপনি সংবিধান তথা রাষ্ট্রীয় মূলনীতি চেন্জ করতে পারবেন। যেকোন আদর্শকে বিজয়ী করার জন্য আপনার জন্য তিনটা পদ্ধতি খোলা আছে- ১.voting ২.সশস্ত্র যুদ্ধ ৩গণ অভ্যুত্থান এই তিনটার যেকোন একটি দিয়েই আপনাকে যেতে হবে। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধ বৈধ কিনা, এ যুগে এ পদ্ধতির সফলতার সম্ভাবনা কতটুকু আর এভাবে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রের স্থায়িত্বই বা কতটুকু তা পৃথক নোটে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। বাকি রইলো গণ অভ্যুত্থান। গভীরভাবে চিন্তা করে দেখলে বুঝা যাবে যে voting হচ্ছে এক ধরনের নীরব গণ অভ্যুত্থান। আর আরেকটা বিষয় হলো আধুনিক যুগে যেকোন গণ অভ্যুত্থান আলটিমেটলি সশস্ত্র যুদ্ধে রূপ নিবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা কিন্তু গণ অভ্যুত্থানের দ্বার বন্ধ করে দেইনি। কেননা আমরা অব্যাহতভাবে মানুষের মাঝে দাওয়াতি কাজ করে যাচ্ছি। আর নিরবচ্ছিন্ন দাওয়াতি কাজই হল গণ- অভ্যুত্থানের প্রথম ও প্রধান শর্ত। ৩) পদার্থ বিজ্ঞানে আছে সূর্যই পৃথিবীতে সব শক্তির উৎস। আরো আছে শক্তির অবিনাশিতাবাদ। এগুলো কুফরি কথা। তাহলে কি আপনে পদার্থবিজ্ঞান পড়বেন না? পরীক্ষার খাতায় অবিনাশিতাবাদ লিখবেন না? যারা লিখবেন তারা কি কাফির যদিও তারা ব্যক্তিগত ভাবে এগুলোর স্বীকৃতি দেয় না?? যারা এই বইগুলো যারা লিখেছেন তাদের অনেকেই নাস্তিক নন। ‘সূর্যই পৃথিবীর সকল শক্তির উৎস’ এর দ্বারা তারা সূর্যকে খোদায়ী শক্তি অর্পণ করতে চান নি? তারা যেটা বুঝাতে চেয়েছেন সেটা হলো পৃথিবীতে শক্তির উৎসের আপাত/বাহ্যিক/immediate cause হলো সূর্য। এই বাক্যটি ultimate cause কি সে সম্পর্কে আলোকপাত করে নি। আর এটা যে immediate cause কে ফোকাস করেছে ultimate cause কে নয়, তা ছাত্র শিক্ষক সকলেই জানে। এরপরেও কেউ পদার্থবিজ্ঞানকে কুফরি ফাতওয়া দিয়ে পড়া বাদ দিতে চাইলে তাকে স্বাগতম। এখন আসা যাক ‘জনগণ সকল শক্তির উৎস’ এই বিষয়ে। এটা একটা রাজনৈতিক প্রতীকী বাক্যমাত্র। এরদ্বারা এটা বুঝায় না যে জনগণ খোদায়ী ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়েছে। তাহলে এই বাক্যের সঠিক তাৎপর্য কি? আমাদের জানতে হবে কোন প্রেক্ষাপটে এই কথাটি চালু হয়। এই কথাটি চালু হয় ভয়ানক রকমের স্বৈরতান্ত্রিক পরিবেশে, যেখানে স্বৈরশাসক যা খুশি তাই করার চেষ্ট করত, জনগণকে তোয়াক্কা করার চিন্তা করত না। এর against এ এই কথাটি চালু হয় যাতে দাবী করা হয় যে জনগণই শক্তির উৎস। এখানে আসলে mean করতে চাওয়া হয়েছে যে শাসকের চেয়ে জনগণ শক্তিশালী। এখানে সৃষ্টিকর্তার ভূমিকার ইঙ্গিত দেওয়া হয় নি। অর্থাৎ এটাও immediate cause সংক্রান্ত। একটি উদাহরণ দেওয়া যায়, এক ব্যক্তি বলল যে এই জমির মালিক আমি। এর অর্থ সে এটা বুঝাতে চাচ্ছে যে এখন এই জমি সে ভোগ করবে। এটাকে ‘সবকিছুর মালিক আল্লাহ’ এই উক্তির বিপরীতে স্থাপনের চেষ্টা নিছক মূর্খতা। তারপরেও আমরা স্বীকার করছি যে এটা একটা ত্রুটি এবং এটার পরিবর্তন দরকার। এরজন্য চাই ইসলামের বিজয়। ৪) বর্তমান সংবিধানের কিছু অংশ ত্রুটিপূর্ণ সেটা আমরাও স্বীকার করি। সরকারকে আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় নছীহতও করে আসছি। এই ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা চেন্জ করে ইসলামী ভাবধারা প্রবর্তনের জন্যই আমাদের সামগ্রিক দাওয়াতি কাজ, আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম, আমাদের বিজয়ের প্রচেষ্টা। আমরা কি করতে চাচ্ছি তা আমাদের বিরোধীরা ভালো করেই জানে, যে কারনেই আমাদের উপর এত অত্যাচার নির্যাতন ও মিথ্যা অপবাদ। আমরা ব্যক্তিগতভাবে ঐসব ইসলাম বিরোধী ঐসব মূলনীতিকে বিশ্বাস করি না। তাহলে কি শুধুমাত্র এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন করলে আমাদের কুফরির ফাতওয়া দেওয়া হবে?? আল্লাহর রাসূল (সঃ) ইসলামের বিজয়ের পূর্বে পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছুই করেছেন। যেমন- ১) তিনি মূর্তির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন কিন্তু ইসলামের বিজয়ের পূর্বে কাবা চত্বরে মূর্তি থাকা সত্ত্বেও সালাত আদায় করেছেন। ২) হুদাইবিয়ার সন্ধিতে বৃহত্তর স্বার্থের কারণে ‘আল্লাহর রাসূল’ শব্দটি নিজ হাতে কেটে দিয়েছেন যদিও সাহাবীরা এতে আপত্তি তুলেছিল। ৩) হাদীসে আছে মুসলিম তার ভাইকে শত্রুদের মুখে ঠেলে দিতে পারে না। কিন্তু হুদাইবিয়ার সন্ধিতে এর উল্টোটা করা হয়। ৪) মক্কায় থাকা অবস্থায় তিনি সেখানের সমাজপতিদের তিন বছর নির্বাসন মেনে নিয়েছেন। কিন্তু ইসলাম বিজয়ের পর তিনি সব মূর্তি কাবা চত্বর থেকে উৎখাত করেছেন। প্রচলিত সমাজে অবস্থান করে, এর ভ্রান্তনীতির বিরুদ্ধে কথা বলে জনসমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে অতপর সেইভ্রান্ত নীতি পরিবর্তন করাই রসূল (সঃ) এর আন্দোলনের কর্মপন্থা ছিল। অনেক আলেম গণতন্ত্রের বর্তমান ব্যবস্থার সমালোচনা করা সত্ত্বেও ‘আমর বিল মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার’, সাধ্যানুযায়ী দুর্নীতি কমানো এবং ইসলামের পক্ষে কথা বলার জন্য পার্লামেন্টে অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছেন- “But as for the one who nominates himself or nominates others in this system in order to join the parliament and enjoin good and forbid evil, and establish proof against them, and reduce its evil and corruption as much as he can, so that people of corruption and disbelievers in Allaah will not have free rein to spread mischief in the land and spoil people’s worldly interests and religious commitment, this is a matter that is subject to ijtihaad, according to the interests that it is hoped will be served by that.” -Mawsoo’at al-Adyaan wa’l-Madhaahib al- Mu’aasirah (2/1066, 1067) Some scholars are even of the view that getting involved in these elections is obligatory. Shaykh Muhammad ibn ‘Uthaymeen(শায়খ মুহাম্মদ বিন উসাইমীন রহঃ) was asked about the ruling on elections, and he replied: I think that elections are obligatory; we should appoint the one who we think is good, because if the good people abstain, who will take their place? Evil people will take their place, or neutral people in whom there is neither good nor evil, but they follow everyone who makes noise. So we have no choice but to choose those who we think are fit. If someone were to say: We chose someone but most of the parliament are not like that, We say: It does not matter. If Allaah blesses this one person and enables him to speak the truth in this parliament, he will undoubtedly have an effect. But what we need is to be sincere towards Allaah and the problem is that we rely too much on physical means and we do not listen to what Allaah says. So nominate the one who you think is good, and put your trust in Allaah. End quote. From Liqaa’aat al-Baab al-Maftooh, no. 210 এই বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত ইবনে তাইমিয়্যা (রহঃ) এর দুটি ফাতওয়া ড. ইউসুফ আল কারযাভী তাঁর Priorities of Islamic Movement বইতে উল্লেখ করেছেন। আগ্রহীরা বইটি দেখতে পারেন। অলরেডি বইটির বাংলা অনুবাদও বের হয়েছে। ৫) সংবিধানে কুফরি কথা আছে, এই অজুহাতে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণকে কুফরি বলেন, পার্লামেন্টের সদস্য হওয়াকে কুফরি বলেন, তাদের উদ্দেশ্যে- সরকার বলতে শুধু পার্লামেন্ট বুঝায় না। গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার তিনটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হলঃ ক) পার্লামেন্ট বা সংসদ খ) শাসন বিভাগ গ) বিচার বিভাগ পার্লামেন্টে অংশগ্রহণ যদি কুফরি হয়। তাহলে- 1. বিচারবিভাগে অংশগ্রহণ কুফরি হবে না কেন?? মনে রাখতে হবে যে বিচারপতিগণ সংবিধানকে সমুন্নত রাখার শপথ নিয়েই বিচারক হন। আর আইনজীবীরা সংবিধানের আলোকেই তাদের যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেন। 2. শাসন বিভাগে অংশগ্রহণ কুফরি হবে না কেন?? এক্ষেত্রেও জেনে নেওয়া দরকার যে, রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের লোক, এমনকি গ্রাম্য চৌকিদার পর্যন্ত শাসন বিভাগ বিস্তৃত। 3. কুফরি সংবিধান বহালকারী সরকারকে tax দেওয়া কুফরি কিনা জানতে চাই। 4. পুলিশ ছাড়া বিচার বিভাগ অচল। আবার পুলিশ , বিচার বিভাগ , সেনাবাহিনী ছাড়া সরকার অচল। কুফরি সংবিধান টিকিয়ে রাখার একনিষ্ঠ প্রহরী হল পুলিশ ও সেনাবাহিনী। সুযোগ পেলে উনাদের শপথবাক্যগুলো পড়ে দেখবেন। এখন প্রশ্ন হল পুলিশ এবং সেনাবাহিনীতে চাকরি করা কুফরি কিনা? 5. বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানী, কল-কারখানা, গণমাধ্যম, সংবাদপত্র, প্রকাশনা সংস্থা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে দেশের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং দেশের প্রচলিত আইনানুসারেই। কোন সংবাদপত্র যদি ঘোষণা দেয় যে, আমরা দেশের সংবিধান অস্বীকার করি। তাহলে তারা কি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে? যেসব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা সংবিধানের স্বীকৃতি দিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা কুফরি কিনা?? 5. বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, সমাজকল্যাণ সংস্থা, স্কুল কলেজ, এমনকি মসজিদ মাদরাসাও সরকারের অনুদানে পরিচালিত হয়। আর এসব অনুদানের সাথে সুদ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখন প্রশ্ন হল এসব প্রতিষ্ঠান থেকে কোন সেবা নেওয়া জায়েয কিনা?? সরকারী হাসপাতালের টিকিটে “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত” এই কথাটি অবশ্যই উল্লেখ থাকে। এই টিকিট দিয়ে চিকিৎসা সেবা নেওয়া কুফরি কিনা?? 7. জমি ক্রয় বিক্রয়ের জন্য যে বিভিন্ন দলিল দস্তাবেজ ও স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হয় তাতে “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার” কথাটি উল্লেখ থাকে। এই দলিলে জমি ক্রয় বিক্রয় কুফরি কিনা?? 8. বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে কাগজী নোট এবং ধাতব মুদ্রা বের করা হয় তাতে স্পষ্ট করে লেখা থাকে, “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রবর্তিত”। এই নোট ব্যবহার করা কুফরি কিনা?? হেঃ হেঃ মোরা ঐ কুফরি নোটের স্বীকৃতি দেই না, তয় ঐ নোটখানা হাতে পাবার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলি! এই আরকি!! 9. পড়ালেখা, চাকুরী, ব্যবসা বাণিজ্য, এমনকি বিয়ে নিবন্ধনের জন্যও সরকারী সনদপত্র, সার্টিফিকেট দরকার পড়ে। তাতেও ঐ কুফরি কথাটি লেখা থাকে। কুফরি কথাযুক্ত সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য এত পরিশ্রম কেন, আর সার্টিফিকেট লেমিনেটিং করে সযত্নে ট্রাঙ্কে রাখাই বা কেন আমার বুঝে আসে না। কওমি সনদের স্বীকৃতির জন্য আলেমদের এত লম্ফ ঝম্প কেন তাও জানা দরকার। 10. দেশের সংবিধান না মেনে নাগরিত্বের সনদপত্র পাওয়া যাবে না, পাসপোর্ট ও পাওয়া যাবে না, হজ্জেও যাওয়া যাবে না। আবার পাসপোর্টেও উক্ত কুফরি কথাটি সংযুক্ত থাকে। এখন যে ব্যক্তি procedure maintain করে হজ্জ্বে যাবে সে কুফরি করেছে কিনা? 11. স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি অফিস, আদালতের বিভিন্ন ফর্মে জাতীয়তা(Nationality) র জন্য যে ঘর থাকে, তা আপনারা পূরণ করেন কিনা? বিভিন্ন online account খোলার সময় এ জাতীয় অপশন পূরণ করা কুফরি কিনা জাতি জানতে চায়। এত সব সমস্যার সমাধান দুইটা- ক) প্রচলিত ব্যবস্থার অধীনে থেকে এই ব্যবস্থা চেন্জ করার চেষ্টা করা খ) আফ্রিকার জঙ্গলের মতো জায়গায় চলে যাওয়া যেখানে কোন তন্ত্র মন্ত্রের বালাই নেই অথবা নির্ভেজাল ইসলামী কোন রাষ্ট্রে হিজরত করা। অবশ্য নির্ভেজাল কোন ইসলামী রাষ্ট্র আছে কিনা সেটা আপনারাই খুঁজে দেখবেন। আর কুফরি সরকারের অনুমোদন ছাড়া, কুফরি কথা সংবলিত পাসপোর্ট ছাড়া আপনারা কিভাবে দেশত্যাগ করবেন সেটাও আপনারাই ভেবে দেখবেন। আমার বিন্দুমাত্রও আগ্রহ নেই। (এখানের ১ম কয়েকটা পয়েন্টের থিম Muhsin Abdullah ভাইয়ের কাছ থেকে নেওয়া) ৬) আমরা একটা বিষয় উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। আমাদের কাছে Democracy হলো voting, counselling এবং জবাবদিহিতার একটা system/ কাঠামো, এটা রাষ্ট্র পরিচালনার কোন মতাদর্শ নয়। অনেকে কমিউনিজম, সেক্যুলারিজম কিংবা ন্যাশনালিজমের মতো democracy কে রাষ্ট্রপরিচালনার আদর্শ ভাবেন। অথচ এধারণা সঠিক নয়। নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রকে দুইভাগে ভাগ করা যায় একটা হচ্ছে গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্র। আর সমাজতন্ত্র, ধনতন্ত্র, সেক্যুলারিজম এগুলো হলো মতাদর্শ যার ভিত্তিতে democratic বা স্বৈরতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। একটা হলো কাঠামো/ system আর একটা হলো মতাদর্শ। Democratic System অথবা কাঠামোতে আপনি চাইলে কম্যুনিজম বা সেক্যুলারিজম কে Ideology রূপে গ্রহণ করতে পারেন, আবার চাইলে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন, এমনকি চাইলে সুবিধাবাদও গ্রহণ করতে পারেন। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে ইসলামে কি শুধু Ideology আছে, system/কাঠামো নেই? উত্তর হলো ইসলামে অবশ্যই system আছে। ইসলামী system এর আধুনিক রূপই হলো democracy যার প্রমাণ হলো বাইয়্যাত (আধুনিক রূপ voting) এবং মজলিশে শূরা ও জবাবদিহিতা (আধুনিক রূপ parliament)। আর ইসলাম স্বৈরতন্ত্রকে সমর্থন করে না। অবশ্য প্রচলিত democratic system এর কিছু ত্রুটি আছে যেগুলো সংশোধনযোগ্য। ৭) ”যদি তুমি পৃথিবীর অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। তারা তো শুধু অনুমানের ভিত্তিতে কথা বলে।” [সূরা আনআম : ১১৬] এই আয়াতটিকে অনেকে democracyর বিরোধী মনে করেন। কিন্তু আমি তাতে দ্বিমত করি। কেননা parliament ব্যবস্থায় টোটাল জনগণের মতামত নেওয়া হয় না। বরং শুধুমাত্র প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া হয়। আর আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে voting প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থী ও ভোটারদের উপর বিভিন্ন দ্বীনি শর্ত আরোপ করা যায়। ফলে সবধরনের লোক (যেমন কাফির মুনাফিক) প্রতিনিধিও হতে পারবে না, ভোটাধিকারও পাবে না। ‘গণতন্ত্র মানে সার্বজনীন’ ভোটাধিকার কথাটি সঠিক নয়। প্রচলিত ব্যবস্থায়ও ১৮ বছর বয়সের কম থাকলে ভোটার হওয়া যায় না, পাগলকেও ভোটার করা হয় না। এক সময় নিগ্রোদের ভোটাধিকার ছিল না, নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। তখনও ঐ ব্যবস্থাকে democracy বলেই অভিহিত করা হতো। আসলে গণতন্ত্রের নির্দিষ্ট কোন রূপ নেই, দেশে দেশে যুগে যুগে গনতন্ত্রের রূপ বিভিন্ন। কাজেই একটি আদর্শবাদী রাষ্ট্রে যদি ঐ আদর্শকে ভোটাধিকারের শর্ত বানানো হয়, তাহলেও তা democracy ই থাকবে। অন্তত রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা এটাকে গণতন্ত্রই বলবে। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনে কিন্তু সমর্থক, কর্মী, সাথী সকলে ভোট দিতে পারে না, শুধুমাত্র সদস্যরা ভোট দেয়। ৮) আরো একটা বিষয় হলো বিরোধী দল এবং রাষ্ট্রপ্রধানের মেয়াদ। অনেকে রাষ্ট্রপ্রধানের নির্দিষ্ট মেয়াদে নির্বাচিত হওয়াকে ইসলাম সম্মত মনে করে না। অথচ এটা ইসলাম বিরোধী হওয়ার কোন কারণ নেই। কেননা এটা রাষ্ট্রপ্রধানের স্বেচ্ছাচারিত রোধ, দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি এবং জবাবদিহিতার একটা উপায় মাত্র। এখনকার রাষ্ট্র আয়তনে বৃহৎ, কাজের পরিধি অনেক বেশি, এছাড়া রয়েছে নিরাপত্তাজনিত জটিলতা। ফলে দূরবর্তী অঞ্চলের এক নাগরিকের পক্ষে রাষ্ট্রপ্রধানকে সরাসরি জবাবদিহিতার সম্মুখীন করা বেশ কঠিন। খুলাফায়ে রাশেদীনের পরবর্তী যুগে বিভিন্ন ধরনের যুলুম নির্যাতনের অন্যতম কারণ ছিলো এই ধরনের দায়িত্বানুভূতির অভাব এবং আজীবন মেয়াদের ক্ষমতা। যে আপত্তি তোলা হয় যে পুনরায় অনৈসলামিক দল ক্ষমতায় আসতে পারে। এরূপ ভয় দূরীকরনের উপায় মূল নোটেই আলোচনা করা হয়েছে। অনেকে বলতে চান খুলাফায়ে রাশেদীন আজীবন খলিফা ছিলেন। আর হাদীসে খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ আঁকড়ে ধরতে বলা হয়েছে। অথচ হাদীসে প্রথমে রাসূলের সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরতে বলা হয়েছে। খয়বরের যুদ্ধের পর নবী (সঃ) যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সৈনিকদের মাঝে বন্টন করে দেন। কিন্তু উমার (রাঃ) ইরাকের পল্লী অঞ্চল জয়ের পর তা করেন নি। এর কারণস্বরূপ তিনি বলেন, “আমি সম্পদকে বর্তমান ও ভবিষ্যত মানুষদের জন্য যথেষ্ট মনে করছি। আপনি কি চান আগামী প্রজন্ম এমন অবস্থায় পড়ুক যে তাদের জন্য কিছুই রাখা হয় নি”। ইবনে কুদামা (রহ) এর ব্যাখ্যায় বলেন, “তারা উভয়ে সেটাই করেছেন যা তাদের সময়ের সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত মনে হয়েছে”। এই ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে পূর্ববর্তীদের যেকোন প্রথা পরবর্তীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। মনে রাখতে হবে যে দ্বীনের মাঝে কিছু উদ্ভাবন বিদআত কিন্তু দ্বীনি উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কোন way/means/device উদ্ভাবন বিদআত নয়। এরপর আসে বিরোধীদল প্রসঙ্গ। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কার্যত বিরোধীদলের প্রয়োজন নেই। কেননা এখানে প্রত্যেকেরই ( both member of parliament & general person) উচিত ন্যায়সঙ্গত কাজে সরকারকে সাহায্য করা এবং অন্যায় কাজে সরকারের ভুল ধরিয়ে দেওয়া, সংশোধন করা। তারপরেও বর্তমান যুগের প্রেক্ষাপটে সমালোচনা দায়িত্বশীলতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধির জন্য বিরোধীদলের প্রয়োজনীয়তা আছে। সেক্ষেত্র ‘বিরোধীদল’ শব্দটির পরিবর্তে ‘সহায়ক দল’ শব্দটি ব্যবহার করা যেতে পারে। কেননা ইসলামে “অসঙ্গত বিরোধিতা হারাম”(সূরা আ’রাফ : ৩৩)। এছাড়া সংবিধানে কুরআন সুন্নাহর সার্বভৌমত্ব বিষয়ক অতিরিক্ত ধারার ফলে বহুলাংশে সহায়ক দলের তৎপরতা নিয়ন্ত্রিত হবে এবং সে ক্ষেত্রে গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করা যায়। বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সমমতাবলম্বীদের বলছিঃ 1.প্লিজ ভালো লাগলে শেয়ার করুন। 2. কোন পরামর্শ দিতে চাইলে মেসেজ করতে পারেন। ভিন্নমতাবলম্বীদের বলছিঃ 1. কমেন্ট করার পূর্বে পুরো পোস্টিটি এবং সংযুক্ত ৮টি পয়েন্ট at least দুইবার পড়ুন। 2. আলোচনা হওয়া চাই বিশয়ভিত্তিক। 3. গঠনমূলক বক্তব্য না দিয়ে খোঁচানো টাইপের কমেন্ট দিলে ডিলেট মারা হবে।
Posted on: Wed, 20 Nov 2013 17:29:49 +0000

Trending Topics



16, 2013 by
Infiniti QX56 Headphones and DVD Remote 2004 2005 2006 2007 2008
Little Pieces Quiles Family....Working Together to live with
going to visit a friend and chill for a bit... Crossing fingers

Recently Viewed Topics




© 2015