Mowdudir vranto akida. Kalker joab. Valo koira chuk khuila dekha - TopicsExpress



          

Mowdudir vranto akida. Kalker joab. Valo koira chuk khuila dekha lon. মওদুদীর পরবর্তী বক্তব্য (তথাকথিত ইসলামী দলের ভিত্তিতে ক্ষমতার অংশীদারিত্ব পাবার লোভে নারী নেতৃত্ব সমর্থনের পক্ষে) পত্র নং- ৮৯ শ্রদ্ধেয়, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আপনার পত্র পেয়েছি। আমাদের মত যুলুম ও স্বৈরাচারী নীতির প্রচলন থাকা মস্তবড় গুনাহ। এর পরিবর্তনের জন্য একজন মহিলার নেতৃত্ব গ্রহণ করা ছাড়া আর কোন উপায় যদি না থাকে তবে তা হবে একটি বড় বিপদকে দূর করার জন্য ছোট বিপদেরসাহায্য গ্রহণ করা, যার অনুমোদন শরীয়াতে আছে। (নাঊযুবিল্লাহ) খাকসার আবুল আলা প্রাপক, আব্দুল হাই সাহেব, সুলতানপুর, আজমগড়, ইন্ডিয়া। মন্তব্য: এ চিঠিতে সে বলেছে যে স্বৈরাচার পরিবর্তনের জন্য একজন মহিলার নেতৃত্ব গ্রহন ছাড়া আর কোন উপায় যদি না থাকে তবে নারী নেতৃত্ব গ্রহণের অনুমোদন শরীয়তে আছে। অথচ ১৯৫২ সালের ‘মাসিক তরজুমানুল কোরআন’ ও ‘মাসিক আল ফুরকান’ পত্রিকায় সেই লিখেছে নারী নেতৃত্ব কোন ইজতিহাদী মাসয়ালা নয়। অর্থাৎ কোন মাওলানা, কোন শাইখুল হাদীছ, কোন খতীব, কোন মুফাস্সিরে কুরআন, কোন মুফতির কিয়াস, পর্যালোচনা মতামত বা অভিমত খাটানো এখানে চলবে না। বড় খারাপমোকাবিলায় ছোট খারাপ গ্রহণ এ জাতীয় কথা এখানে বলা চলবে না। মওদুদীর ভাষায়: “শরীয়তের হুকুম মতে আমল করার জন্য যে ব্যক্তি যুক্তি প্রমাণ তলব করে তার স্থান ইসলাম গণ্ডীবহির্ভূত; অন্তর্ভুক্ত নয়।” অর্থাৎ মাওঃ মওদুদীর ফতওয়া অনুযায়ীই সে ইসলামের গণ্ডীবহির্ভূত। অন্তর্ভুক্ত বা মুসলমান সে নয়। বরং হাদীছ শরীফ-এর বিচারে স্পষ্ট মুনাফিকই তাকে বলা যায়। এখানে উল্লেখ্য, ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত ‘দ্য মিত্রোথি আর্কাইভ’নামক বইয়ে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “ধর্মীয় দল জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল আলা মওদুদী ছিলেন সি.আই.এ’র এজেন্ট। ফিরআউনের কাহিনীও মওদুদীর প্রতিপ্রযোজ্য হয়। একবার মানুষের ছুরতে হযরত জিব্রাঈল আলাইহিস সালাম এসে ফিরআউনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কোন মনিব যদি কোনো গোলামকে তার প্রয়োজনের চাইতে অনেক বেশি দেয় পরবর্তিতে সে গোলাম যদি উক্ত মনিবের বিরোধিতা করে তাহলে তার কি শাস্তি হওয়া উচিত? জবাবে ফিরআউন তখন দ্বিধাহীন চিত্তে বলেছিল তাকে লোহিত সাগরের পানিতে চুবিয়ে মারা উচিত। আল্লাহ পাক আপন কুদরতে ফিরআউনের মুখেই তার শাস্তির কথা উল্লেখ করিয়েছিলেন। তদ্রুপ তথাকথিত ইসলামী জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর হাক্বীকত কী তা কুদরতময় আল্লাহ পাক তার হাত দিয়েই লিখিয়েছেন। এর প্রমাণ স্বরূপ নারী নেতৃত্ব সম্পর্কে মওদুদীর আরো চিঠির উল্লেখ করা যায়। যেমন মওদুদী বলে: পত্র- ৮৭, ২১শে নভেম্বর, ‘৬৪ শ্রদ্ধেয়, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আপনার চিঠি পেয়েছি। আল্লার যমীনে আল্লার আইন প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের উদ্দেশ্য। আমাদের পথ থেকে বর্তমান একনায়কত্ব হটানো ছাড়া এ উদ্দেশ্য হাসিল হতে পারে না। এ সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফাতেমা জিন্নাহকে সহায়তা করা ছাড়া একনায়কত্ব হটানোর আর অন্য কোনা বাস্তব পন্থা নেই। এ সময়ে যদি তৃতীয় একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্টের জন্যে দাঁড় করানো হয় তবে এটা প্রকৃতপক্ষে আইয়ুব খানকে একনায়কত্বে প্রতিষ্ঠিত রাখারই প্রচেষ্টা হবে। খাকসার আবুল আলা প্রাপক কাযী নাসীর আহমদ সাহেব নারুওয়াল। পত্র- ৮৮, ২১শে নভেম্বর- ‘৬৪ শ্রদ্ধেয়, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আপনার চিঠি পেয়েছি। আপনার পেশকৃত প্রস্তাব শরীয়াতের দৃষ্টিতে ঠিক নয়। আমরা অবৈধ পন্থায় জয়কে পরাজয় এবং বৈধ উপায়ের পরাজয়কে জয় মনে করে থাকি। জাল ভোট গ্রহণ করা অথবা টাকা দিয়ে ভোট কেনা এ দেশের জন্যে এমন ধ্বংসাত্মক যেমন ক্ষতিকর একনায়কত্ব। এ পন্থায় যারা নির্বাচনে জয়লাভ করবে তাদের দ্বারা কোনো সংস্কার ও কল্যাণধর্মী কাজ হতে পারে না। খাকসার, আবুল আলা প্রাপক, আবু নোমান, শিয়ালকোট। (সূত্র: মওদুদীর পত্রাবলী: আধুনিক প্রকাশনী) মন্তব্য: ৮৮ নং চিঠিতে মওদুদী মন্তব্য করেছে আমরা অবৈধ পন্থায় জয়কে পরাজয় এবং বৈধ উপায়ের পরাজয়কে জয় মনে করে থাকি। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে ৮৭ নং প্রশ্নে উল্লিখিত “এ সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফাতেমা জিন্নাহকে সহায়তা করা ছাড়া একনায়কত্ব হটানোর আর অন্য কোন বাস্তব পন্থা নেই।” এই বক্তব্যও পরাজয়েরই পথ। কারণ মওদুদী নিজেই স্বীকার করেছে নারী নেতৃত্ব হারাম এটা কুরআন- সুন্নাহর দ্বারা সরাসরি ছাবেত। এর মধ্যে মানুষের ইজতিহাদ করার কিছু নেই। এটা স্পষ্ট হারাম। যে হালাল বলবেসে মুসলমানই থাকবে না। তাহলে সে হারাম পথে যদি বিজয় আসেও সে হারাম পথে আইয়ুব খান তথা একনায়কতন্ত্রকে যদি ঠেকানোযেতো তাহলেও মওদুদীর ভাষ্যানুযায়ী তা হত পরাজয়। কারণ তা হারাম পথে তথা অবৈধ পন্থায়। আর মওদুদী নিজেও স্বীকার করেছে আমরা অবৈধ পন্থায় জয়কে পরাজয় এবং বৈধ উপায়ের পরাজয়কে জয় মনে করে থাকি। কিন্তু কার্যত মওদুদী সেই হারাম পথেই গিয়েছে এবং তার কথিত পরাজয়ের পথেই তার কবর রচিত হয়েছে এবং তার প্রতিষ্ঠিত তথাকথিত জামাতে ইসলামী অদ্যাবধি সে পরাজয়ের পথে তথা হারাম পথেই রয়েছে। যা তাদের স্বীকারোক্তিতেও বিদ্যমান। ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত এসোসিয়েশন অফ মাওলানা সাঈদী সাপোর্টাস- এর বিশেষ বুলেটিন ‘মূলধারার’ সাথে সাক্ষাৎকারে সাঈদী যা বলেছে, প্রশ: আপনে সর্বদা নারী নেতৃত্ব বিরোধী বক্তব্য দিয়ে থাকেন? অথচ ৯১ এর নির্বাচনের পর নারী নেতৃত্বকে সমর্থন দিলেন কেন? উত্তর: আমরা নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অতীতেও বক্তব্য রেখেছি। এখনো আমরা সে অবস্থান থেকে সরে যাইনি। জনগণকে সবসময়ই বুঝাচ্ছি ইসলামে নারী নেতৃত্ব স্বীকৃত নয়। নারী নেতৃত্বকে আমরা সমর্থন দেইনি। কিন্তু পাঠক! ৯১-এ বি.এন.পির সাথেআঁতাত, ৯৬-এ আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত এবং বর্তমান জোট নেত্রীর সক্রিয় অনুসরণ-অনুকরণ তথা একাত্মতা দ্বারা সাঈদীর উপরোক্ত কথার সত্যতা কত চরম মিথ্যা তা উপলব্ধি করার ক্ষমতাও বোধ হয় সুস্থ মানুষের নেই। মূলতএহেন চশমখোর গোষ্ঠীর পক্ষেই সম্ভব ৭১-এর মত রাজাকারগিরি করা, নারী- ধর্ষণ হত্যা ও লুটতরাজের মহোৎসব করা। কারণ আসলে তো এরা ইসলাম করে না। করে ইসলামের লেবেল এঁটে স্বার্থের রাজনীতি। স্বার্থের
Posted on: Wed, 21 Aug 2013 14:05:00 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015