স্বৈরাচারী বনাম - TopicsExpress



          

স্বৈরাচারী বনাম যুদ্বাপরাধী............... আজ কাল কেউ কেউ এই প্রশ্ন করেন যে, আওয়ামীলীগ জামাতের সাথে বৈঠকে বসেনা অথচ এরশাদের সাথে রাজনীতি করছে। এটা কি স্ববিরোধিতা নয় ? এই প্রসঙ্গে আমরা বলি, যুদ্বাপরাধ একটি গুরুতর অপরাধ। যুদ্বাপরাধীরা দেশের মানুষের বিরুদ্বে সরাসরী জঘন্য ভাবে ফৌজদারী ও মানবতা বিরোধী অপরাধ যেমন- খুন,ধর্ষন, হত্যা, ধর্মান্তর, বাড়ী ঘর পোড়ানো সহ পুরো জাতির বিরুদ্বেই যুদ্ব ঘোষনা করেছিলো। সাধারান মানুষ যারা রাজনীতির সাথে যুক্ত ও ছিলো না এমন মানুষকে ও ঊরা সর্বনাশ করেছে। পক্ষান্তরে, স্বৈরাচারী কর্মকান্ড যারা করেছেন যেমন- জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ। তারা ও অপরাধ করেছেন, তবে তা ছিলো রাজনৈতিক অপরাধ। অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় তাঁরা ক্ষমতায় এসে দল গঠন করে রাজত্ব করেছে । এরা আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে কুলশিত করেছেন। আমরা উভয়কেই নিন্দা করি। তবে যুদ্বাপরাধ আর স্বৈরাচার এক জিনিস নয়। এদেশের মানুষ বিএনপি এবং জাপা কে প্রায় একেই ভাবে মূল্যায়ন করে। তাঁদের দল গঠন, বিকাশ ও রাজনীতি প্রায় একই। violence, abuse of religion, collective madness, corruption and luxurious life style তাঁদের রাজনীতির Base। তাদেরকে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় রাজনীতিক কর্মকান্ড চালাতে নানা ভাবে আওয়ামীলীগ চাপে রেখেছে। অপর দিকে যুদ্বাপরাধীদেরকে বিচারের আওতায় এনে এক মহান ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই প্রসঙ্গে ও অনেকের ভূল ধারনা রয়েছে - তাঁরা মনে করেন যে আজ যাদের বিচার হচ্ছে তা বুঝি কেবল ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্বের সময় পাকিস্তানকে সমর্থন এবং মুক্তিযুদ্বের বিরোধীতা করার জন্যই তাঁদের বিচার করা হচ্ছে । আসলে কিন্তু তা মোটেই নয়। যারা সরাসরি খুন,ধর্ষন, হত্যা, ধর্মান্তর, বাড়ী ঘর পোড়ানো সহ নানা প্রকার অপরাধের সাথে যুক্তছিলো বলে অভিযোগ আছে শুধুমাত্র তাদেরই বিচার চলছে। Natural justice অনুসারে যাদের বিরুদ্বে অভিযোগ প্রমানিত হবে তাঁরাই শাস্তি পাবেন। পরিতাপের বিষয় সেই খুনি রাজাকার যুদ্বাপরাধীরা আজ ও বাংলাদেশকে মন থেকে মেনে নিতে পারে নাই। তাঁরা বাংলাদেশের অগ্রগতিকে নিয়া ব্যঙ্গ বিদ্রোপ করে। ধর্মকে আশ্রয় করে আমাদের মহান মক্তিযুদ্বের গৌরবকে বিনাশ করার চক্রান্তে লিপ্ত এই কোপমন্ডোক চক্র। এরা একদিকে আমাদের মহান ইসলামের বদনাম করছে । এরা সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের চাষ করছে। শান্তির ধর্ম ইসলামকে কলংকিত করছে এবং আমাদের প্রিয় জন্ম ভূমি বাংলাদেশকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানী কায়দায় জঙ্গীবাদের কারখানায় পরিনত করতে চাইছে। তাঁরা রাজনীতির নামে গুন্ডামীতে লিপ্ত হয়েছে। ঊরা কোন রাজনৈতিক শক্তি নয় ; ঊরা ধর্ম ব্যবসায়ী । অপ্রাজনীতির চর্চক। ঊরা বোমার ভাষায় কথা বলে। ককটেল তাঁদের শ্লোগান। মানুষ মারা এদের কর্মসূচী। তা হলে, বলুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসাবে এদের সাথে কেমন করে বৈঠক করবে ? এখানে কোন ব্যক্তি বিশেষের সাথে বিদ্বেষ নয় ; নীতির প্রশ্ন । আদর্শের প্রশ্ন। বাংলাদেশ দীর্ঘ জীবি হোক !
Posted on: Fri, 01 Nov 2013 16:50:35 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015